অশোকের প্রথম শীলালিপি First Rock Edict : As'okå
- Jana Ajana
- Aug 22, 2020
- 2 min read

মৌর্য বংশের অন্যতম ও শ্রেষ্ঠ সম্রাট ছিলেন অশোক । মৌর্য সাম্রাজ্যের বিস্তার করার জন্য তিনি অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং সমগ্র ভারতীয় ভূখণ্ডে তার বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন । কলীঙ্গ যুদ্ধে এতো হত্যা হয়েছিল যে অশোকে "চণ্ডাশোক" বলা হতো । তবে এই কলীঙ্গ যুদ্ধের পর অশোক বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন এবং শান্তি ও অহিংসার পথে রাজ্য শাসন শুরু করেন । অশোক তার সম্রাজ্য শাসনের জন্য বেশ কিছু নিয়ম নীতির পরিবর্তন করেন এবং এগুলিকে তিনি শীলালিপি রূপে ভারতের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করেন ।
এখানে অশোকের প্রথম শিলালিপিটির বর্ণনা করা হলো । অশোকের এই শিলালিপিটি বর্তমান জুনাগড়ের গীরনার পাওয়া গেছে । এই লিপিটিতে প্রাকৃত ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে এবং লিপি বা হরফটি হল ব্রাহ্মী লিপি । এটিতে "নৈতিক অনুশাসন" এর কথা বলা হয়েছে ।
দেবনাংপ্রিয়ন প্রিয়দসিনা ( দেবনামপ্রিয় প্রিয়দর্শি অশোক ) রাজা এই লিপি দ্বারা একটি নৈতিক অনুশাসন রচনা করছেন এখানে (তার রাজ্যে ) কোন জীবিত প্রাণীদের হত্যা অথবা বলি দেওয়া যাবে না এবং কোন প্রকার সামাজিক জমায়েত করা যাবে না । করণ দেবনাংপ্রিয়ন প্রিয়দসিনা

(দেবনামপ্রিয় প্রিয়দর্শি অশোক) রাজা প্রত্যক্ষ করেছে এই সব জমায়েতে অসামাজিক তত্ত্ব বেশি অংশ নেয় । কিন্তু কিছু সামাজিক জমায়েতে (ধর্মীয়) ছাড় দেওয়া হয়েছিল দেবনাংপ্রিয়ন প্রিয়দসিনা (দেবনামপ্রিয় প্রিয়দর্শি অশোক) রাজার তরফ থেকে ।
সাধারণত দেবনাংপ্রিয়ন প্রিয়দসিনী (দেবনামপ্রিয় প্রিয়দর্শি অশোক) রাজার রান্নাঘরে শতশত হাজার হাজার প্রাণীদের হত্যা করা হত খাবার জন্য । কিন্তু এখন যখন এই নৈতিক অনুশাসনের লিপিটি লেখা হল তখন থেকে শুধু মাত্র তিনটি প্রাণীকে প্রতিদিন হত্যা করে খাবার অনুমতি দেওয়া হল । ২ টি ময়ূর , ১ টি হরিণ । তবে হরিণ রোজ মারা যাবে না। ভবিষ্যৎ এ এই প্রাণী গুলিকেও হত্যা করা নিষিদ্ধ করা হবে ।

অশোক যেহেতু প্রায় সমগ্র ভারতীয় ভূখণ্ড কে জয় করেছিলেন এবং অহিংসার ও বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন তাই রাজ্যশাসন করা তার কাছে শক্ত কাজ হয়ে দাঁড়ায় । রাজ্য শাসন ব্যবস্থাকে সহজ করে চালাবার জন্যই তিনি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের শিলালিপি স্থাপন করেন । এই শিলালিপিতে দেখা যাচ্ছে যে অশোক একসঙ্গে অনেক মানুষ জনের জমায়েত করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন , কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন এইসব জামায়াতের থেকেই তার সাম্রাজ্যে বিদ্রোহের সৃষ্টি হতে পারে ।
এছাড়াও মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে তিনি সাধারণ মানুষের মানসিকতা কে হিংসা থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন । এর দ্বারা যেমন সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্মের প্রসার ঘটেছিলেন , তেমনি তাঁর শাসনকালে মানুষকে হিংসা থেকেও দূরে রাখতে তিনি অনেকাংশে সফল হয়েছিলেন ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য
আপনারা কি কেউ জানেন বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন কেন আদিবাসী সমাজে শিকার উৎসব পালন করা হয় ?
যদি প্রশ্নটির উত্তর জানা থাকে তাহলে আমাদের উত্তর জানান এই অ্যাড্রেস janaajana46@gmail.com
ধন্যবাদ
tridibesh chatterjee
Comments