পুরুলিয়ার ভাঙ্গড়া গ্রামের প্রচীনত্ব
- Jana Ajana
- Mar 27, 2021
- 2 min read

পুরুলিয়া রেল স্টেশন থেকে ভাঙ্গড়া গ্রামটি 11 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার রাস্তায় বাঁদিকে গ্রামটির অবস্থান । গ্রামের ভেতর একটি প্রাচীন জৈন দেউল রয়েছে । মন্দিরের ভেতরে চোখে পড়ে একটি উৎসর্গ দেউল বা ভোটিভ চৈত্য । এটিকে একটি বেদির উপর প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে । চৈত্যটি এমন ভাবে প্রতিষ্ঠিত যে চার পাশের তীর্থঙ্কর মূর্তি গুলি দৃষ্ট হলেও লাঞ্ছণ চিহ্ন গুলো সিমেন্ট এ ঢাকা পড়ে গেছে । গ্রামের এই দেউলের সময়কাল আনুমানিক খ্রীষ্টীয় নবম শতাব্দী । পাড়ার দেউল সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে থাকলে ক্লিক করুন 👍

ভাঙ্গড়া গ্রামেরই মিশ্র পাড়ার কাছে একটি দুর্গামন্দিরের দেওয়ালে একটি জৈন তীর্থঙ্করের মূর্তি প্রোথিত অবস্থায় রয়েছে । এই মুর্তিটি হল ঋষভদেব বা আদিনাথের । ঋষভনাথ বা আদিনাথ হলেন জৈনদের প্রথম তীর্থঙ্কর । এখানে মূর্তি টি যদিও অনেকাংশেই ধ্বংস হয়ে গেছে । দেবের লাঞ্ছণ চিহ্ন সিমেন্টের বেদির নীচে ঢাকা পড়ে গেছে । ঋষভনাথের মাথায় রয়েছে জটা মুকুট এবং তিনি পঞ্চরথ সিংহাসনে পদ্ম ফুলের উপর কায়োৎসর্গ মুদ্রায় দণ্ডায়মান । দেবের দুই পাশে রয়েছে 12 | 12 মোট জন তীর্থঙ্কর এর প্রতিকী মূর্তি । ঋষভনাথের পায়ের দুই পাশে রয়েছে দুই জন চামর ধারী ।

মূর্তিটির ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন মুর্তিটির কি করুন্ দশা , দেখে মন খারাপ হয়ে যায় । পুরুলিয়ার গ্রামে গঞ্জে এই ভাবে প্রচুর পুরাতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সচেতনতার অভাবে দিনের পর দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ।

ভাঙ্গড়া গ্রামের দুর্গা মন্দিরে দেওয়ালে অবস্থিত ঋষভনাথের মূর্তির মতো আরেকটি মূর্তি দেখা যায় পুঞ্চা ব্লকের অন্তর্গত লাখরা গ্রামের শ্মশানের পাশে একটি মন্দিরে । এখানে ঋষভদেব ভৈরব/ শিব রূপে পূজিত হন ।
উল্লেখ্য যে জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভনাথের আরেক নাম আদিনাথ এবং ভগবান শিবেরও আরেক নাম আদিনাথ ।

ধন্যবাদ
ত্রিদিবেশ চ্যাটার্জ্জী
Photo Credit = Jaya Ganguly
Onek din por..lekhoni prosonsonio.egiye jao
Khub valo , onek din por..
Very informative.keep it