top of page
Search

চামুন্ডা "চামুন্ডা শববাহনা"

  • Writer: Jana Ajana
    Jana Ajana
  • Sep 3, 2020
  • 2 min read

আপনারা হয়তো সবাই চামুন্ডা নামক দেবীর কথা সকলেই শুনে থাকবেন । যদি দেখে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে এই দেবীর রূপ ভয়ানক । দেবী চামুন্ডা সপ্তমাতৃকা এর মধ্যে একজন । সপ্তমাতৃকা হল সাতজন মাতৃশক্তি্ যার মধ্যে রয়েছেন - ব্রাহ্মী, মাহেশ্বরী, কুমারী, বৈষ্ণবী, বারাহি, ইন্দ্রানী এবং চামুণ্ডাবরাহপুরাণ এবং কূর্মপুরাণে আমরা এই সপ্তমাতৃকা এবং তার অন্যতম আজকের আলোচ্য চামুন্ডার উল্লেখ পেয়ে থাকি । click here

চামুন্ডা রূপের বর্ণনা :- চামুণ্ডা রূপ ভয়ানক । চামুন্ডা মানুষের মাথার খুলি দিয়ে তৈরি মালা পড়ে থাকেন । বস্ত্র হিসাবে রয়েছে বাঘের ছাল । তিনি ডুমুর গাছের নিচে বসে থাকেন । চামুন্ডার বসার আসন হলো ‌ এক বা একাধিক মৃতদেহ অর্থাৎ তিনি মানুষের মৃতদেহের উপর বসে থাকেন ।এছাড়াও যখন চণ্ডীপাঠ হয় তখন মন দিয়ে শুনলে আপনারা শুনতে পাবেন "চামুন্ডা শববাহনা" চামুন্ডা দেহ কঙ্কালসার , তার চোখ কুঠুরির মধ্যে যেন ঢুকে থাকে। তিনি দশ (10/8) হাত বিশিষ্ট তাঁর হাতে থাকে দেবী দুর্গার অস্ত্র তবে কালীর মাথার খুলি বা যাকে কপাল বলা হয় সেটি থাকবেই । চামুন্ডার বাহন হল পেঁচা । এছাড়াও ঈগল ও থাকে ।

নিম্নে হিমাচল প্রদেশের চামুণ্ডা মন্দির ( স্থানীয় বাসিন্দারা এই মন্দিরটিকে শক্তিপীঠ মনে করে থাকে ) এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো -


চামুন্ডা মন্দির :-

হিমাচল প্রদেশ একটি প্রসিদ্ধ শক্তি পীঠ হলো চামুন্ডা মন্দির। কাংড়া ভ্যালী তে স্হিত এই মন্দির ধর্মশালা থেকে যেমন ঘুরে দেখা যায় তেমনি আবার কেউ পালমপুরে একদিন থাকেন, তাহলে ওখানে থেকে ও দেখে নিতে পারেন।মন্দির টি পালামপুর থেকে দশ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।

আবার ধর্মশালা থেকে ষোলো কিলোমিটার দূরে তাই ইচ্ছে মতো যেকোনো জায়গা থেকে একদিন বৈজনাথ মন্দির এবং চামুন্ডা মন্দির দুটোই দেখে নিতে পারা যায়।

মন্দির টি পালামপুর থেকে দশ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। আবার ধর্মশালা থেকে ষোলো কিলোমিটার দূরে তাই ইচ্ছে মতো যেকোনো জায়গা থেকে একদিন বৈজনাথ মন্দির এবং চামুন্ডা মন্দির দুটোই দেখে নিতে পারা যায়।


চন্ড ও মুন্ড নামক অসুর কে বধ করে দেবী হয়েছিলেন চামুন্ডা। এই চামুন্ডা দেবীর মূল মন্দির টি ছিল এক দুর্গম স্হানে। চারশো বছর আগে এই অঞ্চলের রাজা এবং পুরোহিত দেবীর কাছে আবেদন করেন দেবীকে সহজলভ্য স্হানে প্রতিষ্ঠিত করার অনুমতি চেয়ে। তখন দেবী পুরোহিত কে স্বপ্নে দেখা দেন এবং তাকে একটি নির্দিষ্ট জায়গা খননের কথা বলেন।

দেবী বলেন যে সেই নির্দিষ্ট জায়গা খননে তারা একটি প্রাচীন মূর্তি পাবেন। পুরোহিত রাজাকে তার স্বপ্নের কথা বলতে রাজা তার লোকজন কে আনার জন্য পাঠান কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। পুরোহিত কে দেবী আবার দর্শন দেন এবং আদেশ করেন সকালে উঠে স্নান সেরে নতুন বস্ত্র পরিধান করে সে যেন মূর্তি নিয়ে আসে। দেবীর আদেশ অনুযায়ী পুরোহিত তাই করেন এবং নতুন মন্দির তৈরি করে এই মূর্তির প্রতিষ্ঠা হয়।



নবরাত্রি এর সময় এই মন্দিরে প্রচুর ভীড় হয়। তাছাড়া জুলাই আগষ্ট মাসের মাঝামাঝি শ্রাবন পূর্নিমার সময় এখানে বিশাল মেলা হয় ।

Shiuli Sen

ধন্যবাদ : Shiuli Sen


ঠিকানা : janaajana46@gmail.com

 
 
 

1 Comment


tridibesh_edited.jpg

জানা-অজানা

ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভ্রমণ

Know your history

WEEKLY NEWSLETTER 

Thanks for submitting!

  • https://www.facebook.com/ChhauMaskandPuruliaTourGuide/?ref=pages_you_manage

© 2023 BY Tridebesh Chatterjee. Designed BY CAPTUREGRAPHICS.IN

bottom of page